এই উপন্যাস এক যুবকের জীবনের মাত্র চার ঘণ্টা সময়কাল নিয়ে রচিত সে তার মাকে নদীর ধারে দাহ কারে বাড়ি ফিরছে। ফেরার পথে তার মনে পড়ছে জীবনের ফেলে আসার অতীত স্মৃতি, সেই স্মৃতিতে যেমন রয়েছে বন্ধুত্ব, প্রেম, স্নেহ তেমনই রয়েছে আঘাত, বিশ্বাসভঙ্গ, যন্ত্রণা। রয়েছে ছোট এক মফস্সলের অলিগলি, তার প্রকৃতি, জীবনযাপন। যুবকটি মায়ের মৃতদেহকে দাহ করে ফেরার সময় বারংবার উপলব্ধি করে এই চিতার আগুন তাকে বহুবার দগ্ধ করেছে, নানাভাবে। তার শরীরের আনাচে-কানাচে রয়ে গেছে সেই পোড়া দাগ । কেন তার এই অনুভূতি? কী তার অতীত স্মৃতি? কেন যুবকটি নিজেকে চিহ্নিত করে এক দগ্ধজাতক হিসেবে? বর্তমান আর অতীতের মেলবন্ধনে এ এক আশ্চর্য বেদনার আখ্যান যা পাঠকের হৃদয়কেও সিদ্ধ করে তুলবে অদৃশ্য অশ্রুজলে।
এই কাহিনি মাত্র চারঘন্টার যাত্রাপথের। নদীতীরে মাকে দাহ করে বাড়ি ফিরতে থাকা এক যুবক, যে সহসাই টের পায় তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে শুধু নানারঙের আগুন জ্বলে রয়েছে।ফেলে আসা মফস্বলি শৈশব ,বন্ধুত্ব, প্রেম, মায়া, বিশ্বাসঘাতকতা সবকিছু ধিকিধিকি জ্বলতে থাকে এক সদ্য মাতৃহারা নি:সঙ্গ যুবকের অস্তিত্ব জুড়ে।সে নিজেকে আবিষ্কার করে একজন জ্বলেপুড়ে যাওয়া দগ্ধপুরুষ হিসেবে। কেন? কীসের এই দহন?

No comments:
Post a Comment