সাতচল্লিশের দেশভাগ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শান্ত নিস্তরঙ্গ বাঙালি সংস্কৃতিকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। বিশেষ করে বাংলা ভাষার ওপর রাষ্ট্রনৈতিক এই পালাবদল যারপরনাই প্রভাব বিস্তার করল। বাংলা ভাষার আঞ্চলিক লক্ষণ অর্থাৎ উচ্চারণ-প্রবণতা ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকল তার দৈনন্দিন ভাষাসংস্কৃতি থেকে। বিশেষ করে তথাকথিত পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাভাষী মানুষ ঠাইনাড়া হয়ে চলে এলেন নব্যগঠিত বঙ্গদেশের মানচিত্রে। একাত্তরের উদ্বাস্ত আগমনেও বাংলাদেশের ভাষা মুখে নিয়ে এ বঙ্গে পা রেখেছিলেন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের মুখে তখনও লেগে রয়েছে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, বরিশাল, ফরিদপুর কিংবা ঢাকার ভাষিক লক্ষণ। এপার বঙ্গের রাঢ়ী উপভাষা আর ওপারের বঙ্গালি উপভাষাকে এক সহজ সহাবস্থান নিকটবর্তী করে তুলছে দু’দেশের মানুষকে। ভাষা বাঙাল ভাষা ঘটি’ গ্রন্থে লেখক পূর্ববঙ্গের ভাষিক লক্ষণযুক্ত মানুষের সাহচর্য পেয়েছেন ত শৈশবযাপনের দিনগুলিতে। কেমন ছিল বাংলাদেশের ভাষাবৈচিত্রা, কেমন ছিল তার জেলাভিত্তিক স্বাতন্ত্র্য, তারই সরস উপস্থাপনা “ভাষা বাঙাল ভাষা ঘটি
No comments:
Post a Comment