টরেন্স ম্যাকেঞ্জি, আসানসোলের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ফ্যামিলির ছেলে । সুদর্শন গিটার বাজিয়ে এবং বন্ধু মহলে অসম্ভব জনপ্রিয় এই অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ মানুষটির বিয়ে হয় বাঙালি পরিবারের মেয়ে অনামিকার সঙ্গে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা মানুষটিকে তাড়িয়ে বেড়াতে থাকে। উন্নতি এবং আরো উন্নতির লোভে কোম্পানির এক্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টে যোগ দিয়ে টরেন্স ম্যাকেঞ্জিকে যেতে হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের দায়িত্ব নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই আসানসোলে আসা কমতে থাকে টরেন্সের। অনামিকা ও তার ছেলের রণ ও মেয়ে এমিলির সঙ্গে সম্পর্ক শুধুমাত্র টিকে থাকে ফোনের মাধ্যমে। হঠাৎ একদিন টরেন্সের ফোন আসা বন্ধ হয়ে যায়। কোনভাবেই টরেন্সের খোঁজ পাওয়া যায় না । সময় পেরোতে থাকে তার নিজের ছন্দে। ইতিমধ্যে রন বড় হয়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে। আজও ম্যাকেঞ্জী ফ্যামিলিতে সবাই বিশ্বাস করে টরেন্সে বেঁচে আছে, কোনদিন হয়তো ফিরবে। এমন সময় হঠাৎই একদিন দুর্ধর্ষ ম্যালে জলদস্যুদের হাতে অপহৃত হয় রন
। এরপরেই গল্পে হঠাৎ করেই গতি আসে স্বাভাবিক ছন্দে চলতে থাকা জীবন পাল্টে যায় রণের কাছে। তাকে নিয়ে দু’দলের মধ্যে চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ । এরই সঙ্গে এসে যোগ হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ংকর সংগঠন। রণের জীবন কোন খাতে বয়ে যাবে তা ঠিক করবে কে? টরেন্স ম্যাকেঞ্জি কি আজও বেঁচে আছে? উত্তর খুঁজে পাবেন সোনালি ত্রিভুজের বন্দিতে।
No comments:
Post a Comment